প্রসূতীকালীন পরিচর্যা ও প্রসূতি মায়ের পুষ্টি:
===============================
প্রসবোত্তর সেবা
নারীদের প্রজনন
স্বাস্থ্যের একটি
অপরিহার্য অংশ।
প্রসবের পর
থেকে
৬
সপ্তাহ
পর্যন্ত সময়কে
”প্রসবোত্তর কাল”
বলা
হয়।
এ
সময়
মায়ের
বিশেষ
সেবা
প্রয়োজন। কারণ
এই
সময়
শিশুকে
মায়ের
দুধ
খাওয়ানোর জন্য
মায়ের
শরীরের
ক্ষয়
হয়।
শিশুর
বৃদ্ধির জন্য
প্রয়োজনীয় সকল
পুষ্টি
উপাদান
মায়ের
দুধে
বিদ্যমান; যা
শিশু
মায়ের
কাছ
থেকে
পেয়ে
থাকে।
এজন্য
এ
অবস্থায় মায়ের
শরীর
সুস্থ
রাখার
জন্য
সব
ধরনের
পুষ্টি
উপাদান
সমৃদ্ধ
খাবার
এবং
বাড়তি
যত্নের
প্রয়োজন।
প্রসব পরবর্তী যত্ন:
=============
প্রত্যেক বার
খাবারের সময়
প্রসূতি মাকে
স্বাভাবিকের তুলনায়
কমপক্ষে ২
মুঠ
বেশি
পরিমানে খাবার
খেতে
হবে।
অতিরিক্ত খাবার
শিশুর
জন্য
মায়ের
দুধ
তৈরী
করতে
সহায়তা
করে
এবং
মায়ের
নিজের
শরীরের
ঘাটতি
পূরণ
করে
- দুগ্ধদানকারী মাকে সব ধরনের পুষ্টি সমৃদ্ধ (আয়রণ, ভিটামিন-এ, আয়োডিন, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি) খাবার খেতে হবে
- দুগ্ধদানকারী মায়ের কাজে পরিবারের সকল সদস্যদের সহযোগিতা করতে হবে
- গর্ভবতী ও প্রসূতি মহিলাদের পুষ্টি নিশ্চিত করতে পরিবারের সবার (স্বামী, শাশুড়ী) করণীয়:
- গর্ভকালীন সেবা গ্রহনের জন্য গর্ভবতী মহিলার সাথে সেবা কেন্দ্রে যাওয়া এবং আয়রণ ফলিক এসিড খাওয়ার জন্য গর্ভবতী মহিলাকে মনে করিয়ে দেয়া
- গর্ভবতী মহিলা / দুগ্ধদানকারী মাকে অতিরিক্ত খাবার খেতে উৎসাহিত করা
- ঘরের দৈনন্দিন টুকিটাকি কাজে গর্ভবতী মহিলাকে সাহায্য করে তার কাজের বোঝা কমানো
- হাসপাতালে প্রসব করানোর বিষয়ে গর্ভবতী মহিলাকে উৎসাহিত করা এবং সহযোগীতা করা
- হাসপাতালে প্রসবের জন্য যাতায়াত ব্যবস্থার প্রস্তুতি নেয়া
- জন্মের এক ঘন্টার মধ্যে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানোর জন্য গর্ভবতী মহিলাকে উৎসাহিত করা এবং সহযোগীতা করা
- জন্মের সাথে সাথে শিশুকে মায়ের শালদুধ খাওয়ানোর জন্য গর্ভবতী মহিলাকে উৎসাহিত করা এবং সহযোগীতা করা
- মা শিশুকে যথেষ্ট সময় নিয়ে দুধ খাওয়াত পারে তার জন্য দুগ্ধদানকারী মাকে সুযোগ করে দেয়া